শিরোনাম :
অতটা বড় করে দেখছেন না পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ ইউসুফ একে তো টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ দল। সঙ্গে যোগ করুন, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে গড়া ইতিহাস। এর আগে যা করে দেখাতে পারেনি এশিয়ার কোনো দলই। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতে সেই নতুন ইতিহাসই গড়েছে ভারত। বিরাট কোহলিদের শিবির তাই এখন ফুরফুরে মেজাজে। কিন্তু মোহাম্মদ ইউসুফের কথা শুনলে কোহলিদের পিত্তি জ্বলে যেতে পারে! পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটসম্যান ভারতের এই ঐতিহাসিক সিরিজ জয়কে তেমন বড় করে দেখছেন না। ইউসুফের মতে, পাকিস্তানের এই দলটির সামর্থ্য আছে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স কিংবা কাগজে-কলমে শক্তি বিচারে কোহলিদের চেয়ে বেশ পিছিয়েই থাকবে সরফরাজ আহমেদের দল। সুনীল গাভাস্কার, মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন, সৌরভ গাঙ্গুলি, মহেন্দ্র সিং ধোনিদের মতো অধিনায়কেরা যা করতে পারেননি কোহলির নেতৃত্বে তা করে দেখিয়েছে ভারতের এই দলটি—প্রথম অস্ট্রেলিয়া সফরের পর এই ৭১ বছরে দেশটির মাটিতে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়। গোটা ক্রিকেট বিশ্বই প্রশংসায় ভাসিয়ে দিচ্ছে ভারতীয় দলকে। কিন্তু ইউসুফ খুব একটা সন্তুষ্ট হতে পারেননি। টিম পেইনের এই অস্ট্রেলিয়া দল নাকি তাঁর দেখা দুর্বলতম। যদিও ইউসুফ এ কথাও বলেছেন, ভারতের জয়কে তিনি মোটেও খাটো করে দেখছেন না। পাকিস্তানের হয়ে ৯০টি টেস্ট খেলা এই সাবেক ব্যাটসম্যান পিটিআইকে বলেন, ‘ভারতীয়দের অর্জন বেশ বড় এবং তাঁরা ভালো খেলেই সিরিজ জিতেছে। তবে এটাও সত্য যে, গত সেপ্টেম্বরে আরব আমিরাতে পাকিস্তান ১-০ ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোয় আমি মোটেও অবাক হইনি। এই অস্ট্রেলিয়া দলের শক্তি এতটুকুই। আমার মতে, অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ভারত ও পাকিস্তান তুলনামূলক বেশি শক্তিশালি দল। পাকিস্তান দল এখন অস্ট্রেলিয়ায় গেলে তাঁদেরও সিরিজ জয়ের সুযোগ থাকবে।’ সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বে পাকিস্তান দল আপাতত অতটা ভালো করতে পারছে না। আরব আমিরাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট জিতেছিল পাকিস্তান। কিন্তু প্রথম টেস্টে পাকিস্তানের জয় ছিনিয়ে ড্র করেছিল পেইনের এই অস্ট্রেলিয়াই। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁরা আমিরাতে তাঁরা ‘হোম’ সিরিজ হেরেছে—যা ঘরের মাঠ হিসেবে গত ৪৯ বছরের মধ্যে কিউইদের বিপক্ষে প্রথম হারের নজির। আর দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এরই মধ্যে তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানের হার নিশ্চিত করেছে সরফরাজের পাকিস্তান। বিস্তারিত...
বরাবরের মতোই তার জন্য খুশির খবর নতুন ছবিতে অভিনয় করা। চুক্তিবদ্ধ না হলেও নতুন একটি ছবিতে অভিনয়ে কথা প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে এ নায়িকার। ছবির নাম ‘স্বপ্নবাজি’। এটি পরিচালনা করবেন পিয়াল হোসেন। আমেরিকা প্রবাসী ফ্যাশন ডিজাইনার পিয়ালের এটাই প্রথম ছবি পরিচালনা। ওখানে তিনি ব্যবসা করার পাশাপাশি সিনেমা নির্মাণের ওপর পড়াশোনাও করছেন। বাংলাদেশের ফ্যাশন জগতের অন্দরমহলে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা নিয়ে ছবিটি নির্মাণ করা হবে বলে পরিচালক জানিয়েছেন। এ ছবিতে অভিনয় প্রসঙ্গে পপি বলেন, ‘পিয়াল ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। গল্পে আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলেছি। ভালো লেগেছে। দেশে এলে চুক্তি হবে। তারপর বিস্তারিত বলতে পারব।’ এ ছবিতে পপি ছাড়া আরও অভিনয় করবেন আবদুন নূর সজল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি অভিনয়ের মানুষ। সবসময় ভালো গল্পের চরিত্রে অভিনয় করতে চেষ্টা করি। আগেই বলেছিলাম ভালো গল্পের ছবিতে অভিনয় করব। সে রকম গল্পও খুঁজছিলাম। স্বপ্নবাজি ছবির গল্পটি আমার ভালো লেগেছে। তাই রাজি হয়ে গেলাম। আশা করি দর্শকদের ভালো লাগবে এ ছবিটি।’ একই ছবিতে জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়ারও অভিনয় করার কথা রয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এ ছবির শুটিং শুরু হবে বলে পরিচালক জানিয়েছেন। এদিকে নতুন এ ছবি ছাড়া পপি বর্তমানে ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’, ‘সাহসী যোদ্ধা’ ও ‘সেইভ লাইফ’ নামে তিনটি ছবির শুটিং করছেন। ছবিগুলোর বেশিরভাগ কাজ শেষ হয়েছে। চলতি মাসে বাকি কাজ শেষ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ‘কাটপিস’ নামে আরও একটি নতুন ছবির কাজ ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে শুরু করবেন। অন্যদিকে সজল এর আগে ‘হারজিৎ’ নামে একটি ছবির শুটিং করলেও সেটি এখনও মুক্তি পায়নি। বিস্তারিত...
ণ’ আনছে চীন। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে নতুন একটি আইন পাস করেছে দেশটি। মুসলিম ও ইসলামী রীতিনীতির বিরুদ্ধে দেশটির চলমান দমন-পীড়নের মধ্যে বিতর্কিত এই পদক্ষেপ নিয়ে এগোচ্ছে বেইজিং। আইনের মাধ্যমে সমাজতন্ত্রের সঙ্গে মুসলিম রীতি ও ধর্মের বিধানগুলো ‘সঙ্গতিপূর্ণ’ করা হবে। আর তা করা হবে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে। শনিবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইংরেজি দৈনিক গ্লোবাল টাইমসের এক রিপোর্টে এসব কথা বলা হয়েছে। চীনের কমিউনিস্ট সরকারের ধর্মবিরোধী পদক্ষেপগুলোতে এটি নতুন সংযোজন। পশ্চিমাঞ্চলের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ শিংজিয়াং প্রদেশসহ চীনের বেশকিছু অংশে ইসলাম চর্চা অনুশীলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নামাজ পড়া, রোজা রাখা, দাড়ি লম্বা করা, ইসলামী নাম রাখার কারণে বন্দি করা হচ্ছে পুরুষদের। হিজাব পরার কারণে আটক করা হচ্ছে নারীদের। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য মতে, শিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিমদের অন্তত ১২ লাখ সদস্যকে বিভিন্ন বন্দিশিবিরে বন্দি রাখা হয়েছে। সেখানে ‘সংস্কৃতি শিক্ষা’র নামে চালানো হচ্ছে নির্মম নির্যাতন-নিপীড়ন। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তার কিছু চিত্র উঠে এসেছে। আলজাজিরা জানায়, ভীতিকর পরিবেশ-পরিস্থিতির মধ্যে সম্প্রতি আটটি ইসলামী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের দাবি, সংগঠনগুলো ইসলাম ধর্মকে চীনা সমাজতন্ত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে একমত হয়েছেন। ইসলাম ধর্মের ‘চীনা সংস্করণ’র জন্য তারা একটি আইন প্রণয়নেও রাজি হয়েছেন। তবে রিপোর্টে ওই আট মুসলিম সংগঠনের নাম ও কর্মকাণ্ড নিয়ে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করা হয়নি। সাম্প্রতিক কয়েক বছরে চীন মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের ওপর দমনপীড়ন বাড়িয়ে দিয়েছে। লাখ লাখ উইঘুর মুসলিমকে বন্দিশিবিরে আটকে রেখে তাদের পুরোপুরি বদলে দেয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এসব বন্দিশিবিরেরর নাম দেয়া হয়েছে ‘পুনঃশিক্ষণ শিবির’। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অধীনে ইসলাম ধর্মের ওপর বিধিনিষেধ অতীতের চেয়ে আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। চীনের কিছু অংশে ইসলাম ধর্ম পালন পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরপরও যারা নামাজ পড়েছে, রোজা রেখেছে বা যেসব মুসলিম নারী হিজাব পরেছে, তাদের গ্রেফতার ও নির্যাতনের মুখে পড়তে হয়েছে। অধিকার সংগঠনগুলো চীনা সরকারের বিরুদ্ধে জাতি নির্মূল অভিযান চালানোর অভিযোগ তুলেছে। তবে চীন এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, তারা সংখ্যালঘুদের ধর্ম ও সংস্কৃতিকে সুরক্ষা দিচ্ছে। নতুন আইন পাস হলেও ইসলামের ‘চীনা সংস্করণ’ বানাতে বা মুসলিম রীতিনীতিকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলার জন্য কয়েক দশক ধরে কাজ করে যাচ্ছে চীন। এক্ষেত্রে বেশ আক্রমণাত্মক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আগে এসব ধর্মের অনুসারীদের প্রতি সহনশীলতা দেখালেও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সময়ে তাদের স্বাধীনতা ক্রমেই সঙ্কুচিত হচ্ছে। মাও জে দংয়ের পর তিনিই চীনের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন বলে জানায় আলজাজিরা। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১০ লাখেরও বেশি উইঘুর মুসলিমকে বন্দি শিবিরে আটকে রাখা হয়েছে এবং তাদের ধর্ম ত্যাগ করে কমিউনিস্ট পার্টির প্রতি আনুগত্যের অঙ্গীকারে বাধ্য করা হচ্ছে। চীন জাতিগত নিধনে অংশ নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। গত আগস্টে মার্কিন পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্টের একটি সম্পাদকীয়তে বলা হয়, বিশ্ব মুসলিমদের বিরুদ্ধে এই অভিযানকে ‘উপেক্ষা করতে পারে না।’ বিস্তারিত...